সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন-২০১০ এর মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে। ঢাকায় কলম্বো প্রসেস এর ৪র্থ সম্মেলন চলার সময় ২০১১ সালের ২০ শে এপ্রিল এই ব্যাংকের শুভ উদ্বোধন হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে এ পর্যন্ত লক্ষাধিক বিদেশগামী কর্মীকে অভিবাসী ঋণ প্রদান করেছে। ব্যাংকটি মাত্র ০৩ দিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে থাকে। এছাড়া বিদেশ ফেরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ আবেদনকারীর বাড়িতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ঋণ প্রদানের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জেলায় ১২০ টি শাখার মাধ্যমে এর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখাসহ ১২০ টি শাখা হতে প্রায় প্রতিদিন ২০০০ বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মীর কাছ হতে রেজিস্ট্রেশন ফি,স্মার্টকার্ড ফি এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ ফি সংগ্রহ করে থাকে। জানুয়ারি ২০১৪ সাল হতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করেছে। বিদ্যমান ব্যাংকিং পদ্ধতি সহজলভ্য না হওয়ার কারণে প্রবাসী কর্মীগণ অবৈধ পন্থায় টাকা স্থানান্তর করে থাকেন। যে জন্যে অভিবাসীদের দ্রুত,সঠিক এবং পেশাগত সেবা নিশ্চিত করতে ও রেমিটেন্স আনায়নের লক্ষ্যে সীমিত আকারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিদেশগামী এবং প্রত্যাগত কর্মীদের সহায়তা দেয়ার জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেল্প-ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বীয় উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসীদের কল্যাণের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ। প্রবাসীদের এবং পুরো জাতির জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এখন আশা এবং প্রত্যাশার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।